নরসিংদীর মনোহরদীতে সাবেক ইউপি মেম্বারের বাড়িসহ এক রাতে তিন বাড়িতে ডাকাতি সংগঠিত হয়েছে। গতকাল রবিবার রাতে উপজেলার শুকুন্দী ইউনিয়নের দীঘাকান্দী ও দশদোনা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
ডাকাতরা এ সময় প্রায় তিনলাখ টাকার মালামাল লুট করে। ডাকাতের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে চারজন আহত হয়েছে। আহতরা মনোহরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। খবর পেয়ে রাতেই মনোহরদী থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
পুলিশ ও ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার জানায়, গতরাত ১টার দিকে দিঘাকান্দী গ্রামের ব্যবসায়ী ফরিদুজ্জামান আনসারী বাবলুর বাড়িতে ৮-১০ জনের একদল ডাকাত হানা দেয়। ডাকাতরা প্রথমে ঘরের দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে পরিবারের সকলকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ২টি হাতের বালা, ১ টি গলার চেইন ও একটি মোবাইল ফোন লুটে নেয়। ডাকাতরা যাওয়ার সময় গৃহকর্তার ছেলে শেখ ফারদিন আনসারী দ্রুবকে ধারালো দা দিয়ে ঘাড়ে এবং মাথায় আঘাত করে। গুরুতর আহতাবস্থায় দ্রুবকে মনোহরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন।
এরপর পার্শ্ববর্তী মোহাম্মদ আলী মেম্বারের বাড়িতে হানা দেয় ডাকাতরা।
ডাকাতের উপস্থিতি টের পেয়ে মেম্বার এবং তার স্ত্রী মমতাজ বেগম ডাকাতদের প্রতিরোধের চেষ্টা করেন। এ সময় ডাকাতরা ক্ষিপ্ত হয়ে মেম্বার এবং তার স্ত্রীকে মাথায় এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে কুপিয়ে মারাত্মক আহত করে। তাদের চিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে আসলে ডাকাতরা পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা দুজনকে উদ্ধার করে মনোহরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করে।
রাত ৩টার দিকে একই ইউনিয়নের দশদোনা গ্রামের আবু বকরের বাড়ি হানা দেয় ডাকাত দল। ডাকাতরা একই কায়দায় ঘরে ঢুকে অস্ত্রের মুখে পরিবারের সকলকে জিম্মি করে ২টি স্বর্ণের চেইন, ৩টি আংটি, ২টি কানের দোল, ৪টি মোবাইল ফোন এবং নগদ ত্রিশ হাজার টাকা লুটে নেয়। ডাকাতরা যাওয়ার সময় আবু বকরের স্ত্রী হামিদা বেগমকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে। তাকেও মনোহরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
মনোহরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামান জানান, খবর পেয়ে সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ডাকাতি হওয়া বাড়ির পাশ থেকে দুটি ককটেল কয়েকটি দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। ডাকাতির ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। লুণ্ঠিত মালামাল উদ্ধার ও ডাকাতদের চিহ্নিত করে আইনের আনতে পুলিশি অভিযান চলছে।
সোর্স: কালের কণ্ঠ